ভগবানের অবতার সমূহ
ভগবানের অবতার সমূহ ছয় ভাগে বিভক্ত ।
যথা - পুরুষাবতার ,
গুনাবতার ,
মন্বন্তরাবতার ,
যুগাবতার ,
লীলাবতার ও
শক্ত্যাবেশ অবতার ।
• পুরুষাবতার →পুরুষাবতার হচ্ছেন - মহাবিষ্ণু গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণু ও ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণু , তিন পুরুষ । ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণু প্রতিটি পরমাণু ও প্রতিটি জীবের মধ্যে পরমাত্মা রূপে অবস্থান করছেন । গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণু এই ব্রহ্মান্ডের পরমাত্মা স্বরূপ । মহাবিষ্ণু অনন্তকোটি ব্রহ্মান্ড সমন্বিত এই জড়জগতের পরমাত্মা স্বরূপ । মহাবিষ্ণু মহা সঙ্কর্ষণ থেকে আর্বিভূত হন । যার লোমকূপ থেকে অনন্তকোটি ব্রহ্মান্ড প্রকাশিত হয় । প্রতিটি ব্রহ্মান্ডে মহাবিষ্ণু গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণুরূপে গর্ভ সাগরে শযন করেন । মহাবিষ্ণু রূপে তিনিকারণ জলে শয়ন করেন বলে তাঁরনাম হচ্ছে কারণোদকশায়ী বিষ্ণু । গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণুর নাভি থেকে কমল বা পদ্ম সৃষ্ট হয় । কমলের উপরিভাগে জগতের স্রষ্টা অযোনি সম্ভূত ব্রহ্মা আবির্ভূত হয়ে থাকেন । সেই গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণু প্রতিটি অনু পরমানুতে ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণু রূপে প্রবেশ করেন এবং একই সঙ্গে ক্ষীর সাগরে শয়ন করেন বলে তাঁকে ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণুবলে সবাই জেনে থাকেন ।
• গুণাবতার → ব্রহ্মা , বিষ্ণু ও মহেশ্বরকে গুণাবতার বলা হয়। ব্রহ্মা রজোগুণের মাধ্যমেসৃষ্টি করেন , বিষ্ণু সত্ত্বগুণের মাধ্যমে পালন করেন শিব তমোগুণের মাধ্যমে সংহার করেন । ব্রহ্মা , বিষ্ণু , মহেশ্বর ভগবানের গুণাবতার হলেও ব্রহ্মা কিন্তু বিষ্ণু তত্ত্ব নন । তিনি হচ্ছেন জীব তত্ত্ব । কোন এক জীব তার সুকৃতির ফলেস্বভাবের ফলে পুণ্যকর্ম অনুষ্ঠানের ফলে ব্রহ্মার পদ লাভ করার যোগ্যতা অর্জন করে থাকেন ।কিন্তু বিষ্ণু হচ্ছেন ভগবান তিনি মায়াধীশ,পালন কর্তা । শিব জীব তত্ত্ব বা বিষ্ণু তত্ত্ব নন। বিশেষ এক বিশেষ তত্ত্ব । তিনি ভগবান বিষ্ণুর একটি প্রকাশ যার দ্বারা তিনি এ সংসারে প্রলয় কার্য সাধন করে থাকেন । ব্রহ্মা বিষ্ণুমহেশ্বর এ তিনজনকে গুণাবতার বলা হয় । শিব ভগবান বিষ্ণুর পরমভক্তও ।
• লীলাবতার → আমরা দেখতে পাই ভগবান বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে এ ধরাধামে অবর্তীন হয়ে বিলাস করে থাকেন । এ ধরাধামে তাঁর আগমনের বিভিন্ন কারণের মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে তার লীলার মাধ্যমে ভক্তদেরকে আনন্দ প্রদান করা । লীলা প্রদর্শনকরার মাধ্যমে এ জড় জগতের বদ্ধ জীবকে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট করান । ভগবান রাম , নরসিংহ ,বামন বিভিন্নরূপে যুগে যুগে অবতীর্ণ হন । এদেরকে বলা হয় লীলা অবতার । ভগবান তার লীলা বিস্তার করে জীবকে উদ্ধার করে থাকেন। •
যুগাবতার →সেভাবে আছে যুগাবতার । এই যুগাবতার প্রতি যুগে অবতীর্ণ হন । সত্য, ত্রেতা ,দ্বাপর ও কলি ভিন্ন ভিন্ন যুগে , ভিন্ন ভিন্ন নামে , ভিন্ন ভিন্ন শরীর ও বর্ণ নিয়ে ভগবান অবতীর্ণ হন ।অবতীর্ণ হয়ে তিনি যুগধর্ম স্থাপন করেন ও অসুরদেরকে সংহার করে ভক্তদেরকে পোষণ করে থাকেন । •
মন্বন্তর অবতার → সত্য , ত্রেতা , দ্বাপর ও কলি এরূপ চতুর্যুগের সমন্বয় বা সমষ্টিকে এক দিব্য যুগ বলা হয় । এ রকম ৭১টি দিব্য যুগ বা চর্তুযুগে এক মন্বন্তর । প্রতি মন্বন্তরে ভগবান যে রূপে অবতীর্ণ হন তাকে বলা হয় মন্বন্তর অবতার । চৌদ্দজন মনুর শাসনকালে প্রায় একহাজার চর্তুযুগ অতিবাহিত হয় । তাকে ব্রহ্মার একদিন বলা হয় । ব্রহ্মার একদিনকে এক কল্পও বলা হয়। এক কল্পের মধ্যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মাত্র একবার অবতীর্ণ হয়ে থাকেন । কেউ কেউ কৃষ্ণকে কল্পাবতার বলে থাকেন । যদিও তিনি অবতার ননতিনি হচ্ছেন অবতারী । সমস্থঅবতারের উত্স হচ্ছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ । ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিদের্শে ব্রহ্মা সৃষ্টি করেন বিষ্ণু পালন করেন ও শিব সংহার করে থাকেন । •
শক্ত্যাবেশ অবতার →সাধারণতঃ শক্ত্যাবেশ অবতার বিষ্ণু তত্ত্ব নন, শক্ত্যাবেশ অবতার জীব তত্ত্ব । যখন কোন জীবের মধ্যে ভগবানের বিশেষ শক্তি প্রকাশ পায় তাকে শক্ত্যাবেশ বলা হয় । সাত প্রকার শক্ত্যাবেশ অবতারেরকখা শাস্ত্রে বর্ণনা করা হয়েছে -
(১) স্বসেবন শক্ত্যাবেশ ,
(২) ভূধারণ শক্ত্যাবেশ ,
(৩) সৃষ্ট শক্ত্যাবেশ ,
(৪) জ্ঞান শক্ত্যাবেশ ,
(৫) ভক্তি শক্ত্যাবেশ ,
(৬) পালন শক্ত্যাবেশ ,
(৭) ভূভার হরণ শক্ত্যাবেশ অবতার ইত্যাদি ।
ভগবানের অবতার সমূহ ছয় ভাগে বিভক্ত ।
যথা - পুরুষাবতার ,
গুনাবতার ,
মন্বন্তরাবতার ,
যুগাবতার ,
লীলাবতার ও
শক্ত্যাবেশ অবতার ।
• পুরুষাবতার →পুরুষাবতার হচ্ছেন - মহাবিষ্ণু গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণু ও ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণু , তিন পুরুষ । ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণু প্রতিটি পরমাণু ও প্রতিটি জীবের মধ্যে পরমাত্মা রূপে অবস্থান করছেন । গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণু এই ব্রহ্মান্ডের পরমাত্মা স্বরূপ । মহাবিষ্ণু অনন্তকোটি ব্রহ্মান্ড সমন্বিত এই জড়জগতের পরমাত্মা স্বরূপ । মহাবিষ্ণু মহা সঙ্কর্ষণ থেকে আর্বিভূত হন । যার লোমকূপ থেকে অনন্তকোটি ব্রহ্মান্ড প্রকাশিত হয় । প্রতিটি ব্রহ্মান্ডে মহাবিষ্ণু গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণুরূপে গর্ভ সাগরে শযন করেন । মহাবিষ্ণু রূপে তিনিকারণ জলে শয়ন করেন বলে তাঁরনাম হচ্ছে কারণোদকশায়ী বিষ্ণু । গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণুর নাভি থেকে কমল বা পদ্ম সৃষ্ট হয় । কমলের উপরিভাগে জগতের স্রষ্টা অযোনি সম্ভূত ব্রহ্মা আবির্ভূত হয়ে থাকেন । সেই গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণু প্রতিটি অনু পরমানুতে ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণু রূপে প্রবেশ করেন এবং একই সঙ্গে ক্ষীর সাগরে শয়ন করেন বলে তাঁকে ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণুবলে সবাই জেনে থাকেন ।
• গুণাবতার → ব্রহ্মা , বিষ্ণু ও মহেশ্বরকে গুণাবতার বলা হয়। ব্রহ্মা রজোগুণের মাধ্যমেসৃষ্টি করেন , বিষ্ণু সত্ত্বগুণের মাধ্যমে পালন করেন শিব তমোগুণের মাধ্যমে সংহার করেন । ব্রহ্মা , বিষ্ণু , মহেশ্বর ভগবানের গুণাবতার হলেও ব্রহ্মা কিন্তু বিষ্ণু তত্ত্ব নন । তিনি হচ্ছেন জীব তত্ত্ব । কোন এক জীব তার সুকৃতির ফলেস্বভাবের ফলে পুণ্যকর্ম অনুষ্ঠানের ফলে ব্রহ্মার পদ লাভ করার যোগ্যতা অর্জন করে থাকেন ।কিন্তু বিষ্ণু হচ্ছেন ভগবান তিনি মায়াধীশ,পালন কর্তা । শিব জীব তত্ত্ব বা বিষ্ণু তত্ত্ব নন। বিশেষ এক বিশেষ তত্ত্ব । তিনি ভগবান বিষ্ণুর একটি প্রকাশ যার দ্বারা তিনি এ সংসারে প্রলয় কার্য সাধন করে থাকেন । ব্রহ্মা বিষ্ণুমহেশ্বর এ তিনজনকে গুণাবতার বলা হয় । শিব ভগবান বিষ্ণুর পরমভক্তও ।
• লীলাবতার → আমরা দেখতে পাই ভগবান বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে এ ধরাধামে অবর্তীন হয়ে বিলাস করে থাকেন । এ ধরাধামে তাঁর আগমনের বিভিন্ন কারণের মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে তার লীলার মাধ্যমে ভক্তদেরকে আনন্দ প্রদান করা । লীলা প্রদর্শনকরার মাধ্যমে এ জড় জগতের বদ্ধ জীবকে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট করান । ভগবান রাম , নরসিংহ ,বামন বিভিন্নরূপে যুগে যুগে অবতীর্ণ হন । এদেরকে বলা হয় লীলা অবতার । ভগবান তার লীলা বিস্তার করে জীবকে উদ্ধার করে থাকেন। •
যুগাবতার →সেভাবে আছে যুগাবতার । এই যুগাবতার প্রতি যুগে অবতীর্ণ হন । সত্য, ত্রেতা ,দ্বাপর ও কলি ভিন্ন ভিন্ন যুগে , ভিন্ন ভিন্ন নামে , ভিন্ন ভিন্ন শরীর ও বর্ণ নিয়ে ভগবান অবতীর্ণ হন ।অবতীর্ণ হয়ে তিনি যুগধর্ম স্থাপন করেন ও অসুরদেরকে সংহার করে ভক্তদেরকে পোষণ করে থাকেন । •
মন্বন্তর অবতার → সত্য , ত্রেতা , দ্বাপর ও কলি এরূপ চতুর্যুগের সমন্বয় বা সমষ্টিকে এক দিব্য যুগ বলা হয় । এ রকম ৭১টি দিব্য যুগ বা চর্তুযুগে এক মন্বন্তর । প্রতি মন্বন্তরে ভগবান যে রূপে অবতীর্ণ হন তাকে বলা হয় মন্বন্তর অবতার । চৌদ্দজন মনুর শাসনকালে প্রায় একহাজার চর্তুযুগ অতিবাহিত হয় । তাকে ব্রহ্মার একদিন বলা হয় । ব্রহ্মার একদিনকে এক কল্পও বলা হয়। এক কল্পের মধ্যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মাত্র একবার অবতীর্ণ হয়ে থাকেন । কেউ কেউ কৃষ্ণকে কল্পাবতার বলে থাকেন । যদিও তিনি অবতার ননতিনি হচ্ছেন অবতারী । সমস্থঅবতারের উত্স হচ্ছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ । ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিদের্শে ব্রহ্মা সৃষ্টি করেন বিষ্ণু পালন করেন ও শিব সংহার করে থাকেন । •
শক্ত্যাবেশ অবতার →সাধারণতঃ শক্ত্যাবেশ অবতার বিষ্ণু তত্ত্ব নন, শক্ত্যাবেশ অবতার জীব তত্ত্ব । যখন কোন জীবের মধ্যে ভগবানের বিশেষ শক্তি প্রকাশ পায় তাকে শক্ত্যাবেশ বলা হয় । সাত প্রকার শক্ত্যাবেশ অবতারেরকখা শাস্ত্রে বর্ণনা করা হয়েছে -
(১) স্বসেবন শক্ত্যাবেশ ,
(২) ভূধারণ শক্ত্যাবেশ ,
(৩) সৃষ্ট শক্ত্যাবেশ ,
(৪) জ্ঞান শক্ত্যাবেশ ,
(৫) ভক্তি শক্ত্যাবেশ ,
(৬) পালন শক্ত্যাবেশ ,
(৭) ভূভার হরণ শক্ত্যাবেশ অবতার ইত্যাদি ।