Header Ads Widget

বৈশাখ মাসে শ্রীমতি তুলসী মহারাণীকে জল দানের কথা

বৈশাখ মাসে শ্রীমতি তুলসী মহারাণীকে জল দানের কথা

বৈশাখ মাসে শ্রীমতি তুলসী মহারাণীকে জল দানের কথা শাস্ত্রে বিশেষভাবে বলা হয়েছে।
হিত্বা তীর্থ সহস্রানি সর্বানপি শীলোচ্চায়ন্।
তুলসী কাননে নিত্যং কলৌ তিষ্ঠতি কেশবঃ।।
কলিযুগে কেশব সহস্র সহস্র তীর্থক্ষেত্র ও সমুদায পর্বত ত্যাগ করিয়া তুলসীকাননেই নিত্য বাস করেন।
দৃষ্টা ষ্পৃষ্টা তথা ধ্যাতা কীর্তিতা নমিতা শ্রুতা ।
রোপিতা সেবিতা নিত্যং পূজিতা তুলসী শুভা ।।
নবধা তুলসীং নিত্যং যে ভজন্তি দিনে দিনে।
যুগকোটী সহস্রণি তে বসন্তি হরির্গৃহে।।
তুলসী সর্বমঙ্গলময়ী প্রত্যহ তুলসীর দর্শন, স্পর্শন, ধ্যান, কীর্তন, নমস্কার, শ্রবণ, রোপণ, সেবা ও পূজা যাহা কিছু করা যায়, তাহাতেই মঙ্গললাভ হইয়া থাকে। যাহারা নিত্য এই নবদা তুলসী-আরাধনা করেন, তাহারা সহস্রকোটি যুগ পর্যন্ত হরিধামে বাস করিযা থাকেন।
তুলসীর দর্শনে পাপ ও রোগ নাশ হয়, স্পর্শের ফলে শরীর শুদ্ধ হয়, জল সিঞ্চনে ভয় দূর হয়, রোপণ করার ফলে ভগবদ্ভক্তি লাভ হয় এবং শ্রীকৃষ্ণচরণে অর্পণ করার ফলে পূর্ণভগবৎ-প্রেম লাভ করা যায়, সেই তুলসীদেবীর চরণে সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
(স্কন্দপুরাণ)
শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ সকল শিষ্য এবং শুভানুধ্যায়ীদের তাঁর জন্যে অতিরিক্ত ৪ বার তুলসী পরিক্রমা করতে অনুরোধ করেছেন।